মিরাজ হুসেন প্লাবন
মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় ট্রলারে গুলি চালিয়ে মাঝি ও ১৯ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গুলিতে মাঝি আহত হন এবং পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোররাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ইসমাইল কোম্পানির ‘এফ বি আল্লাহর দয়া’ নামের মাছ ধরার ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাঝি মোকাররম হোসাইন কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা, তার স্ত্রী রহিমা বেগম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। অপহৃত ব্যক্তিরা কুতুবদিয়ার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছেন উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম।
হামলা থেকে ফিরে আসা জেলে জয়নাল আবেদীন জানান, সোমবার ২১ জন মাঝিমাল্লাসহ তারা সাগরে মাছ ধরতে যান। মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মাছ ধরার সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩ থেকে ৫টার মধ্যে জলদস্যুরা তাদের আক্রমণ করে। জলদস্যুদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাঝি স্থান ত্যাগ করতে চেষ্টা করেন, কিন্তু দস্যুরা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং মাঝি গুলিবিদ্ধ হন।
পরে দস্যুরা মাঝিকে তাদের ট্রলারে তুলে নেয়। জয়নালও কৌশলে সেই ট্রলারে লাফ দিয়ে ওঠেন। এরপর জলদস্যুরা ট্রলারসহ ১৯ জন জেলেকে নিয়ে যায়। তিনি আহত মাঝিকে নিয়ে চট্টগ্রামে ফেরার পথে বাঁশখালী এলাকায় মাঝি মোকাররম মারা যান।
জয়নাল জানান, জলদস্যুদের দলে ১০ থেকে ১২ জন ছিল, তবে অন্ধকারের কারণে তাদের কাউকে চেনা যায়নি। বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাঝির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।