দৈনন্দিন জীবনে আমলের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু ফরজ আমলগুলো অনেক সময় যথেষ্ট না হতে পারে। তাই নফল ও অন্যান্য আমল করা চাই। কারণ, হাদিসে এসেছে- বান্দার ফরজ আমলে ঘাটতি দেখা দিলে নফল দিয়ে তা পূর্ণ করা হবে।
অধিক উপকারী সহজ কিছু আমল—
এক.
দৈনিক একশ বার বার “سبحان الله” সুবহানাল্লাহ পাঠ করা। এতে একহাজার সওয়াব লেখা হয়। একহাজার গুনাহ মাফ করা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭৩)
দুই.
‘الحمد لله” আলহামদুলিল্লাহ আমলের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং এটি সর্বোত্তম দোয়াও বটে। (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; সহিহ আল-জামে : ১/৩৬২)
তিন.
‘لا اله الا الله” বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা— এটি সর্বোত্তম জিকির।‘ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)
চার.
‘سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر” বা সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এই বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। নবী (সা.) বলেন, ‘পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭২)
পাঁচ.
দৈনিক একশ বার “سبحان الله وبحمده” সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করা। এতে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ আল-বুখারি, হাদিস : ৭/১৬৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭১)
ছয়.
এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم” সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম— এই বাক্যগুলো উচ্চারণে সহজ, আমলের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয়। (বুখারি, হাদিস : ৭/১৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭২)
সাত.
‘যে ব্যক্তি একবার “سبحان الله العظيم وبحمده” সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি করে খেজুর গাছ রোপন করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৫১১; সহিহ আল-জামে, হাদিস : ৫/৫৩১; আল-হাকিম, হাদিস : ১/৫০১,)
আট.
মহানবী (সা.) বলেন- “لا حول ولا قوة الا بالله” লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ— হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমূহের একটি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১/২১৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭৬)
নয়.
রাসুল (সা.) বলেন, “سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبرو لا حول ولا قوة الا بالله” সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ— এই বাক্যগুলো হলো- ‘অবশিষ্ট নেক আমল’। (আহমাদ, হাদিস : ৫১৩; মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১/২৯৭)
দশ.
এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষণ করবেন।’ রাসুল (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে- সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে।’ (মাজময়াউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১০/১২০; আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ১/২৭৩)