শেখ হাসিনাকে এবার ফিরতেই হচ্ছে বাংলাদেশ: ভারতীয় সংবাদ
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শ’খনেকে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি খুনের মামলা। এবার গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের আমলে গুম খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা-সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্য়াল।
সোমবার হাসিনা-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারির আদেশ দেয় বিচারপতি গোলাম মর্তুজার নেতৃত্ব ২ সদস্যের ট্রাইবুন্যাল। ওই ১১ জনকে হাজির করতে হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। হাসিনা ছাড়া বাকী ১০ জনের মধ্য রয়েছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা প্রাক্তন মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও পুলিসের প্রাক্তন আইজি বেনজীর আহমেদ।
ট্রাইবুন্যালের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের মদতে গুম করার সংস্কৃতি চালু করে আওয়ামী লীগ। ওই কাজে যারা অংশ নিতেন তাদের পুরস্কৃত করা হত। র্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই সবচেয়ে বেশি গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল। সাদা পোশাকে কিংবা পোশাকধারী বিভিন্ন বাহিনী এসে শয়ে শয়ে মানুষকে তুলে নিয়ে যেত।
এরপর তারা আর কোনোদিন ফিরে আসতো না, অধিকাংশই ফিরে আসেনি। কেউ কেউ ফিরে আসলেও তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু মামলায় আটক দেখানো হয়েছে। আর কেউ স্বৈরশাসনের অবসানের পর আয়নাঘর থেকে ফিরে এসেছেন।
গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারির তোড়জোড় চলেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একশোরও বেশি মামলা করা হয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। সর্বশেষ তাঁর বিরুদ্ধে গুম খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।