June 16, 2025, 1:43 pm

সাইফ আলীর ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক নন!

মোঃ নিজামুল ইসলাম

সাইফ আলীর ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক নন!

বলিউড সুপারস্টার সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করে পুলিশ। তবে রোবাবার বিকেলে শরিফুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে এমন কোনও নথি নেই, যাতে প্রমাণিত হয় তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।

ভারতীয় গণমাধ্যম একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রোববার ভোরে গ্রেফতারের পর শেহজাদকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা হলিডে কোর্টে পেশ করা হয়। আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে মুম্বাই পুলিশের (জোন ৯)-এর ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘১৬ অক্টোবর রাত ২টার দিকে সাইফ আলী খানের বাড়িতে ঢুকে তার উপর হামলা করা হয়। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয় এবং এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাম মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। বয়স ৩০ বছর। সে ডাকাতির উদ্দেশে অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিল।’

শরিফুলের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে পুলিশ তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে সে বাংলাদেশের নাগরিক। তার কাছে ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথিপত্র নেই। আমরা কিছু নথি তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছি। তা থেকে মনে করা হচ্ছে সে বাংলাদেশি। এখনও পর্যন্ত তদন্তে আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা থেকে এটুকু মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তি এই প্রথম সাইফ আলী খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।’

এদিকে মুম্বাই পুলিশের বাংলাদেশি তত্ত্ব খারিজ করে অভিযুক্ত মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি বলেন, ‘পুলিশ যে প্রমাণের ভিত্তিতে তার (অভিযুক্ত মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ) হেফাজত চেয়েছে তা যথেষ্ট নয়। সে যে বাংলাদেশি নাগরিক,তার সমর্থনে পুলিশ কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’

শরিফুলের আরেক আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, ‘প্রথমত, সাইফ আলী খান কখনও এমন কোনও বিবৃতি দেননি যাতে বাংলাদেশ বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ তার জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তার কোনও আন্তর্জাতিক মামলা নেই। পুলিশ বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে আগে বাংলাদেশে থাকত। কিন্তু এখন থাকে না। পুলিশ বলছে, গত ৬ মাস ধরে সে মুম্বাইয়ে রয়েছে। এটা মিথ্যা। তার পরিবার ৭ বছর ধরে মুম্বাইয়ে রয়েছে। এই ঘটনায় ঠিকঠাক তদন্ত হচ্ছে না। পুলিশের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে অভিযুক্ত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক।’

আদালতে কেন শরিফুলের পরিবারের কাউকে দেখা গেল না- এ প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবীরা বলেন, ‘চাপের মুখে তারা এখানে আসতে পারেননি। অবশ্যই আসবেন, যখন প্রয়োজন হবে।’

সূত্র: আনন্দবাজার ও ইটিভি বাংলা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন