মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বহরা, চৌমুহনী, আদাঐর, শাহজাহানপুর ও আন্দিউড়া ইউনিয়নের একাংশসহ প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা ও নানাবিধ প্রয়োজনে মনতলা স্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। উপজেলা সদর থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মনতলার আশপাশে গড়ে ওঠা সরকারি কলেজ, বাণিজ্যিক ব্যাংক, এনজিওসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও নিয়মিত এই স্টেশন ব্যবহার করেন।
বর্তমানে মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে কেবল আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি রয়েছে এবং এ স্টেশনের জন্য মাত্র ২০টি আসন বরাদ্দ। ফলে বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের দুর্ভোগে।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা মনতলা স্টেশনে ঢাকা-সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস এবং সিলেট-চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি কার্যকর করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনতলা রেলওয়ে স্টেশনে পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। বরাদ্দকৃত আসনের তুলনায় চাহিদা প্রায় দশগুণ বেশি। তাই নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি কার্যকর হলে যাত্রীসেবা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি রেলওয়ের রাজস্বও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সম্পূর্ণ মিথ্যা অযৌক্তিক ভিত্তিহীন দাবি। মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া স্টেশনে পারাবত এক্সপ্রেস এবং হরষপুর স্টেশনে কালনি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি দেয়। সুতরাং মনতলা স্টেশনে পারাবত বা কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ মনতলায় গড়ে ২০ যাত্রী ও হয় না। এই স্টেশনের বার্ষিক আয় দেখলেই বুঝতে পারবেন।