সংবাদ প্রতিবেদন (ফিচার রিপোর্ট):
বিয়ে নিয়ে মতভেদ চিরকালীন। কেউ বলেন বয়স বেশি হলে মানুষ পরিপক্ব হয়, তাই দেরিতে বিয়ে করা ভালো। কেউ বলেন পড়াশোনা শেষ না করে বিয়ে মানেই ভবিষ্যতের ঝুঁকি। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, যৌবনে পা দিয়েই বিয়ে করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, অল্প বয়সে বিয়ে করার রয়েছে কিছু বাস্তব ও মানসিক সুবিধা—যা জীবনকে করে তোলে সহজ ও ভারসাম্যপূর্ণ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক অল্প বয়সে বিয়ে করার কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
🔹 মানসিক সঙ্গী ও বন্ধুত্বপূর্ণ জীবন
বিয়ের শুরুতেই স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে জীবন উপভোগ করতে পারেন। ঘুরে বেড়ানো, মনের কথা ভাগাভাগি করা, এবং একসঙ্গে বড় হওয়া—এসব কিছু মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
🔹 মানসিক চাপ কমে আসে
একজনের দুঃখ, হতাশা আর চাপ একা বহনের চেয়ে দু’জনে ভাগ করে নেওয়ায় তা অনেক সহজ হয়। যার ফলে মানসিক চাপ কমে এবং সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
🔹 সন্তান গ্রহণের চাপ থাকে না
অল্প বয়সে বিয়ে করলে তাড়াহুড়ো করে সন্তান নেয়ার চিন্তা করতে হয় না। ফলে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের সুযোগ মেলে। সন্তান জন্মের পর তাকে লালন-পালনের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
🔹 গর্ভধারণজনিত জটিলতা হ্রাস
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। কম বয়সে বিয়ে করলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।
🔹 ডিভোর্স হলেও সময় হাতে থাকে
আজকের বাস্তবতায় অনেক বিয়েই টেকে না। অল্প বয়সে বিয়ে হলে, যদি কোনো কারণে সম্পর্ক না টিকে, তবে জীবন গুছিয়ে নেয়ার সময় হাতে থাকে বেশি।
🔹 অবৈধ সম্পর্কের আশঙ্কা কমে
দীর্ঘ সময় বিয়ে না হলে সন্তানরা অবৈধ সম্পর্ক কিংবা বিপথে যেতে পারে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে সন্তানের মধ্যে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ তৈরি হয়, সামাজিক সম্মানহানির ভয় থাকে না।