শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা দক্ষিণপাড়া গ্রামে সরকারি অনুমোদিত গভীর নলকূপ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা, পাইপ ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার শতাধিক কৃষক।
ভুক্তভোগী কৃষক আমজাদ হোসেন আকন্দ (৬০) গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স নম্বর ৬৩৬/০১ অনুযায়ী পাঁচ বছর ধরে আমজাদ হোসেন সরকারি অনুমোদিত গভীর নলকূপটি পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জুন ভোরে কাজলগৌরি এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি—শামিম ফকির (৩৯), আদু মামুন (৩৬), আবুল ফকির (৩০) ও তাদের সহযোগীরা—নলকূপ দখলের উদ্দেশ্যে প্রায় ৮০ ফুট পাইপ কেটে ফেলে দেন। এতে নলকূপটি অচল হয়ে পড়ে এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ সময় বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারকে প্রাণনাশ ও লাশ গুমের হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তারা নাকি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, “সেচ পাম্প সরিয়ে দে, না হলে তোকে ও তোর পরিবারকে খুন করে লাশ গুম করব।”
সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দাড়িগাছা দক্ষিণপাড়ার প্রায় শতাধিক কৃষক আমন মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। পর্যাপ্ত পানি না পেলে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
অভিযুক্ত শামিম ফকির দাবি করেন, “আমি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার। প্রকল্পের অন্য মালিকদের নির্দেশে পাইপ তোলা হয়েছে। তারা নিজেরাই তা করতে না পারায় আমরা পাইপগুলো সরিয়ে ফেলি।”
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী দ্রুত সেচ ব্যবস্থা পুনরায় চালু ও দখলদারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।