মিরাজ হুসেন প্লাবন:
ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করতে বাংলাদেশেই ভিসা সেন্টার স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ফরেন অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফ্যাকড-ক্যাব)। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে ইইউভুক্ত বেশিরভাগ দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস ভারতে অবস্থিত। ভারতীয় ভিসা পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ভিসা প্রক্রিয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং তাদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
ফ্যাকড-ক্যাবের প্রেস কনফারেন্স বিষয়ক সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. মামুন রানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর দূতাবাস বা কনস্যুলেট বাংলাদেশে স্থাপন হলে শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমবে। এটি আমাদের দেশের শিক্ষাবান্ধব উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে ভিসা সেন্টার স্থাপন করাও সহায়ক হতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদের সংগঠক ও আটাবের যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, ইমিগ্রেশন স্পেশালিস্ট এ কে এম রেজাউল করীম, ব্যারিস্টার মনির হোসেন, ফ্যাকড-ক্যাবের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির বাবু এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা জানান, ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই ভর্তি ফি প্রদান করেছেন এবং অ্যাম্বাসি সাক্ষাৎকারের সময়সূচি পেয়েছেন। তবে ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় তারা সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হতে পারছেন না। এর ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর দূতাবাস বা কনস্যুলেট বাংলাদেশে স্থাপনের বিকল্প নেই।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশের ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে চালু করায় বর্তমান সরকারের ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা। তারা আরও বলেন, “এম্বাসি ও কনস্যুলেট স্থাপনে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশাবাদী। এটি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, বাংলাদেশে ইইউভুক্ত সব দেশের ভিসা সেন্টার স্থাপনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হোক।