বেরোবি প্রতিনিধি:
“দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলাটাই আমার একমাত্র অপরাধ। আমাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে মামলা তৈরি করা হয়েছে”—এভাবেই নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহামুদুল হক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। মাহামুদুল হক বলেন, “যে হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকে হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ সাজানো ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।”
দুদিন আগে জামিনে মুক্তি পাওয়া এই শিক্ষক অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পর থেকেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমাকে টার্গেট করে আসছে। তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই তারা ষড়যন্ত্রে নামে।”
তিনি জানান, ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর সাদা পোশাকধারী ও ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ এসে তাকে জানায়, তিনি একটি মামলার ৫৪ নম্বর আসামি। অথচ মামলা দায়ের হয়েছিল হাজিরহাট থানায়, কিন্তু তাকে নেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়।
মাহামুদুল আরও বলেন, “এর আগেও মানিক হত্যার ঘটনায় আমাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। এখন স্পষ্ট, ন্যায়ের পক্ষে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থানই আমাকে প্রতিপক্ষের চক্ষুশূল করে তুলেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুইটি দাবি জানান—
১. দুটি মামলায় তার নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
২. হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।