জুনেদ আহমদ রুনু
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা বিরোধ অবশেষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, কুলঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, মারামারি ও প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর আগেও গ্রামে একাধিকবার অস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
রবিবার সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে অস্ত্রধারীরা নৌকাযোগে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেনাবাহিনী সেখানে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে রাজমিস্ত্রি মো. আবু সাঈদের (৩১) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় চারজনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, ঘটনাস্থল একটি দুর্গম হাওরাঞ্চল হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে। তিনি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, একরার হোসেন ও তাঁর অনুসারীরা নিয়মিতভাবে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে এবং অস্ত্রধারীদের ধরতে তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ৪
উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র
ঘটনার পেছনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ
যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত