July 30, 2025, 11:00 am
শিরোনাম :
স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড় রাজবাড়ীর মুচিদহ গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ড বগুড়ায় আকাশে উড়ার স্বপ্নভঙ্গ: জুলাই শেষ, নেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট! ভোলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন পাতা দিয়ে “টাকা” বানিয়ে বিস্কুট কিনলো পথকুকুর

রাজবাড়ীর ইয়াবা সম্রাট ইসহাক গ্রেফতার, ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ

মিরাজ হুসেন প্লাবন

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী:

রাজবাড়ীর মধুখালী অঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত ইসহাক শেখ (২৭)-কে ফরিদপুর সেনা ক্যাম্প ও মধুখালী থানার যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে তার কাছ থেকে ৪৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ইসহাক দীর্ঘদিন ধরে মাদকের সক্রিয় সরবরাহকারী হিসেবে প্রশাসনের নজরে থাকলেও বারবার অভিযানে ব্যর্থ হয়ে পলাতক ছিল।

সেনা সূত্রে জানা যায়, ১২ জুলাই রাত ১টা ২০ মিনিটে ফরিদপুর আর্মি ক্যাম্পে তথ্য আসে যে, মধুখালীর বিল আরালিয়া বাজার এলাকায় ইসহাক শেখ অবস্থান করছে এবং ইয়াবা লেনদেনে সক্রিয় রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল ও মধুখালী থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২ জুলাই ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বিল আরালিয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ইসহাক শেখকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেহ তল্লাশিতে ৪৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ইয়াবা সম্রাট ইসহাক শেখের বাড়ি বালিয়াকান্দির শেখপাড়া গ্রামে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ইসহাক শেখ দীর্ঘদিন ধরে রাজবাড়ী ও মধুখালী এলাকায় ইয়াবা সরবরাহের মূল উৎস হিসেবে কাজ করছিলেন। প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাকে ধরার জন্য একাধিকবার অভিযান চালালেও প্রতিবারই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

আটক ইসহাক শেখ এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে সেনাবাহিনী। জনস্বার্থে সেনা ক্যাম্পসমূহকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন