আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক ক্লিনিক ও দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর জনরোষ ও গণমাধ্যমের চাপের মুখে অভিযুক্ত নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ রহমান সংবাদ সম্মেলন করে “শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা” করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাওহীদ রহমান মালিকানাধীন নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার ও নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডেন্টাল এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারকে ১৫ হাজার টাকা এবং রেজাউল করিমের মালিকানাধীন রেখা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের তথ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স নবায়ন না করা, যোগ্য চিকিৎসক ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ঘাটতিসহ নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জনস্বার্থে নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনগণ ও গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনার মুখে ২৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত তাওহীদ রহমান। তবে সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীরা এটিকে অপরাধ ঢাকার অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার ও নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এর আগেও ২০২২ সালের ২ জুন বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সিলগালা করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও যমজ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে, যা তখন ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। নিহত প্রসূতি মায়ের বাড়ি পৌরসভার বাড়াইপাড়া গ্রামে এবং স্বামীর বাড়ি কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বড় শিমুলতলা গ্রামে।