July 31, 2025, 3:32 am
শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে গ্রামবাসীর ধাওয়া, ড্রেজারে আগুন! স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড় রাজবাড়ীর মুচিদহ গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ড বগুড়ায় আকাশে উড়ার স্বপ্নভঙ্গ: জুলাই শেষ, নেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট! ভোলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন

কুয়েটের ন্যায্য দাবিতে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন

তরিকুল ইসলাম,

তরিকুল ইসলাম, গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার এবং চলমান অনশন কর্মসূচির প্রেক্ষিতে এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিঘাদ রৌদ্র। তিনি বলেন, “বন্ধুগণ, আপনারা জানেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। কুয়েটে শুধু নয়, দেশের নানা প্রান্তে শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষেরা আজ নিপীড়নের শিকার। এমন বাস্তবতায়, প্রশ্ন উঠে—ইন্টারিম সরকার কি অন্ধ?”

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “ভিসি এসিতে বসে থাকেন, আর আমাদের ভাইয়েরা অনশন করে মেডিকেলে ভর্তি হয়। যারা হামলার শিকার হয়েছেন, তদন্তের নামে তাঁদেরই ৩৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা নীরব থাকতে পারি না।”

তিনি আরও বলেন, “শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কোনো ভিসি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। আমাদের এই অবস্থান কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকারের পাশে।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় বহিরাগত রাজনৈতিক কর্মীদের হামলায় আহত হন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যাম্পাসে তালা দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন।

গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েটের শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনের পাশে থাকাই মানবিক দায়িত্ব।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন