রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুকুর খনন বন্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ ও ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন বাস্তবায়নে উপজেলা শাসন কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় উপজেলাধীন বিভিন্ন বিলে শত শত বিঘা কৃষি জমি অবৈধভাবে পুকুর খননে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে।
রহস্যজনকভাবে শাসন কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। কৃষি জমি সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন আদেশ, নির্দেশ ও প্রচলিত আইনের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না থাকায় কৃষকদর সমতল উর্বর জমি রাতারাতি জবর দখলের মাধ্যমে পরিণত বড় বড় পুকুর ও দিঘী। এই সুবাদে উপজেলার অসাধু কর্মকর্তরা অনেকে পাচ্ছেন অবৈধভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিন রাত চালিয়ে যাচ্ছে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা, মাড়িয়া, হামিরকুৎসা, গোবিন্দপাড়া, শুভডাঙ্গা ও কাচারি কোয়ালিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে প্রতিনিয়ত শত শত বিঘা কৃষি জমি ধ্বংস করে চলছে পুকুর খনন। বর্তমানে ঝিকরা ইউনিয়নের সিংগা ও রুয়ের বিলে ১০০ বিঘা আবাদি জমিতে দিন রাতে ফ্রি স্টাইলে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন। কৃষি জমি সংরক্ষণে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার বা আইনের শাসন। গত ২৬/৬/২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক পুকুর খনন বন্ধে গন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্দেশনা দিলেও তা কোনভাবেই তোয়াক্কা করছে না খননকারীরা। খননকারীদের ধৃষ্টতা দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি লোক দেখানো নির্দেশনা মাত্র। ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে আশ্বস্ত ব্যতীত প্রতিকারের বিষয়ে কোন আলোর মুখ দেখতে পান না। এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানান, অনতিবিলম্বে বাগমারা উপজেলায় কৃষি জমি সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জোবায়ের হাবিব বলেন, আমরা পুকুর খননের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছি ছুটির দিন অফিসডে আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছি। পুকুর খননের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।