June 16, 2025, 2:38 pm

বিজ্ঞান কি বলে কালো জাদু সম্পর্কে?

মিরাজ হুসেন প্লাবন

নিউজ ডেস্ক:
কালো জাদু, যা “অন্ধকার জাদু” নামেও পরিচিত, মানুষের বিশ্বাস এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ধারণা। এটি সাধারণত অতিপ্রাকৃত শক্তির মাধ্যমে মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষতি সাধন বা দুষ্ট কাজ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তবে বিজ্ঞান এই ধারণাটিকে সমর্থন করে না এবং এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে।

বিজ্ঞান কীভাবে কালো জাদুকে ব্যাখ্যা করে?
মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব:
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, কালো জাদুর প্রভাব আসলে বিশ্বাস এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ। যখন মানুষ বিশ্বাস করে যে কিছু খারাপ ঘটনা ঘটবে, তখন তাদের মনের মধ্যে সেই ভয় বা অশুভ চিন্তা অতিরিক্ত পরিমাণে প্রবাহিত হয়, যা তাদের আচরণ এবং অনুভূতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি প্লেসিবো প্রভাব বা নোচল প্রভাব হিসেবে পরিচিত।

অতিপ্রাকৃত শক্তি বা মহাজাগতিক শক্তি:
বিজ্ঞানীরা অতিপ্রাকৃত বা পরকীয়া শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। তাই, কালো জাদুর ধারণা যেখানে অতিপ্রাকৃত শক্তি বা শয়তানির প্রভাবের কথা বলা হয়, তা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত নয়। বিজ্ঞান সবকিছুকে প্রাকৃতিক শক্তি এবং বিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে চায়।

মানুষের বিশ্বাস ও সংস্কৃতি:
কালো জাদু মূলত একটি সংস্কৃতির বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের মধ্যে আবদ্ধ। অনেক সমাজে এটি শক্তি, নিয়ন্ত্রণ বা ভয় তৈরি করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি আধ্যাত্মিক বা সামাজিক শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।

সংক্ষেপে:
বিজ্ঞান কালো জাদুর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না, এবং এটি মানুষের মানসিক অবস্থা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে মনে করা হয়। কালো জাদুর প্রভাব যদি কখনো দেখা যায়, তা মূলত মনস্তাত্ত্বিক বা সামাজিক কারণেই ঘটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন