পবিত্র কুরআন স্পর্শ করে কসম করা কি শরীয়তসম্মত? যদি কুরআন স্পর্শ করে কসম করে তা ভঙ্গ করা হয়, তাহলে কী করণীয়?ইসলামে আল্লাহ
তাআলার নাম ছাড়া অন্য কোনো কিছু দিয়ে কসম করা নিষিদ্ধ। তবে কেউ যদি কুরআনের নামে বা কুরআন হাতে নিয়ে কসম করে, সেটি শরীয়তের
দৃষ্টিতে বৈধ হলেও সেই কসম রক্ষা করা আবশ্যক।
যদি কেউ কুরআন ছুঁয়ে বা কুরআনের নামে কসম করে এবং পরে তা ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করতে হবে। আল্লাহ তাআলা
কুরআনে ইরশাদ করেন:
“আল্লাহ তোমাদের অনর্থক শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না, তবে শক্ত শপথ ভঙ্গ করলে তোমাদের কাফফারা আদায় করতে হবে। সেটি হলো—
১. দশজন দরিদ্রকে মধ্যম মানের খাদ্য প্রদান করা,
২. অথবা তাদের বস্ত্র প্রদান করা,
৩. অথবা একজন দাস বা দাসী মুক্ত করা।
কেউ যদি এই তিনটির সামর্থ্য না রাখে, তবে তাকে তিন দিন রোজা রাখতে হবে।”
(সুরা মায়িদা: আয়াত ৮৯)
কাফফারা আদায়ের নিয়ম:
১. খাদ্য প্রদান: দশজন দরিদ্রকে মধ্যম মানের খাবার খাওয়ানো বা তার অর্থ প্রদান।
২. বস্ত্র প্রদান: প্রতিজন দরিদ্রকে এক জোড়া পোশাক প্রদান।
৩. রোজা রাখা: যদি উপরের কোনো উপায় সম্ভব না হয়, তাহলে তিন দিন ধারাবাহিক রোজা রাখতে হবে।
কুরআন ছুঁয়ে কসম করা বৈধ হলেও কেবল আল্লাহর নামে কসম করাই সর্বোত্তম। কসম ভঙ্গ হলে দ্রুত কাফফারা আদায় করতে হবে। এটি ইসলামের
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শপথের গুরুত্ব এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।