তরিকুল ইসলাম ফাহিম,
নাটোরের লালপুর উপজেলার পশ্চিম ডেবরপাড়া গ্রামের খামারি আবু রায়হান (৩৫) কোয়েল পাখির খামার গড়ে সংসারে সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তবে আকস্মিকভাবে রানীক্ষেত রোগ ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তার খামারের প্রায় পৌনে পাঁচ হাজার কোয়েল পাখি মারা গেছে, যা তার স্বপ্নকে চরম বিপর্যয়ে ফেলে দিয়েছে।
চাকরির পেছনে না ছুটে রায়হান প্রথমে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার দিয়েছিলেন। আশানুরূপ লাভ না হওয়ায় ইউটিউব দেখে শুরু করেন কোয়েল পাখি পালন। তিন মাস আগে পাঁচ হাজার পাখির বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেছিলেন তিনি। দুই মাসের মধ্যেই প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ডিম উৎপাদন হচ্ছিল। কিন্তু ৭ মার্চ থেকে খামারে পাখির মৃত্যু শুরু হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করলেও শেষরক্ষা হয়নি। একে একে প্রায় সব পাখি মারা গেছে, বেঁচে থাকা একশ পাখিও অসুস্থ।
রায়হান জানান, খামার গড়তে ৫-৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, যা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার নেওয়া। পাখি বিক্রির মাধ্যমে সেই ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা থাকলেও এখন তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে রানীক্ষেত রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা দ্রুত সংক্রমিত হয়। খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।