স্টাফ রিপোর্টার, বরগুনা:
বরগুনার তালতলী উপজেলার করমজাপাড়া গ্রামে ১১ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিদ্দিকুর রহমান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, জমিজমা সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
ঘটনাটি কীভাবে ঘটল?
স্থানীয় সূত্র ও শিশুর পরিবার জানায়, বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় ওই শিশু গ্রামের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে জাম পাড়তে বের হয়। এ সময় অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান জাম দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ঘটনার শিকার হয় শিশুটি। রাতে কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা বিষয়টি আঁচ করেন।
পরদিন সকালে প্রতিবেশীদের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে শিশুটির পরিবার তালতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশের বক্তব্য
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল জানান, “ভিকটিমের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।”
অভিযুক্তের দাবি
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। অভিযোগকারী পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার বয়সে এমন ঘৃণ্য কাজ আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই সত্য উদঘাটন হোক। যেকোনো জায়গা থেকে মেডিকেল পরীক্ষা করলেই প্রমাণ হবে মামলাটি মিথ্যা।”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার খান বলেন, “দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে, যা এলাকার সবাই জানে। তবে ঘটনাটি যেহেতু সংবেদনশীল, তদন্ত ছাড়া কিছু বলা সমীচীন হবে না।”
ঘটনার পর করমজাপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশ প্রকৃত দোষীর শাস্তির দাবি তুলেছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ এটি ষড়যন্ত্রমূলক বলেও সন্দেহ করছেন।
🔍 প্রত্যাশা, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হবে এবং দোষী প্রমাণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।