পিঁপড়া নয় যেন মধুর পাত্র
হানিপট পিঁপড়া , যাকে মধু পিঁপড়াও বলা হয়, এমন পিঁপড়া যাদের বিশেষ কর্মী (রিপ্লেটস,প্লেরগেটস বা রোটান্ডস) থাকে যারা প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে যাতে তাদের পেট ব্যাপকভাবে ফুলে যায়। অন্যান্য পিঁপড়া ট্রফ্যালাক্সিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের থেকে পুষ্টি আহরণ করে। তারা জীবন্ত লার্ডার হিসাবে কাজ করে।
মধুর থলি বহনকারী এ পিঁপড়ার নাম ‘হানিপট এ্যান্ট’। অনেকেই ভাবছেন হানিপট পিঁপড়াগুলোর এ বিশাল পাত্র কি কাজে লাগে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে – হানিপটদের এ পাত্রটি তার শরীরের একটা অংশ। আর এটা ব্যবহৃত হয় খাদ্য উপাদান সঞ্চয় এবং দরকারী সময়ে ব্যয় করার জন্য, যা সমৃদ্ধ অর্থনীতির অংশ। হানিপটদের এ দুই উদ্দেশ্যের দিকে তাকালে বোঝা যায়, এই প্রজাতির পিঁপড়ারা কতটা সচেতন।
সঞ্চয়: হানিপটদের আশপাশে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য থাকে, কর্মী পিঁপড়াদের সহায়তায় হানিপটরা খেতে থাকে। এতো পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে, দেখলে মনে হয়, যেন এখনই বিস্ফোরিত হবে। এসব খাবার মিষ্টি জাতীয় তরল খাবারে পরিবর্তিত হয়ে শরীরের পিছনের দিকের পাত্র আকারের অংশে অবস্থান করে। এতে ওই পাত্রের আকার একটা আঙ্গুরের সমান হয়। এ সময় তারা পিঁপড়াদের কলোনি থেকে বের হতে পারে না এবং কলোনির দেয়ালের সঙ্গে লেগে থাকে।
ব্যয়: কলোনির বাসিন্দাদের খাদ্যের সংকট দেখা দিলে, হানিপটদের জৈব পাত্রে সঞ্চিত তরল সবার খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও, পৃথিবীর বেশ কিছু এলাকায় এসব পিঁপড়ার সঞ্চিত তরল মানুষ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে।