🟥 কুরআনে চুমু দেওয়া জায়েয—এটি নিষিদ্ধ নয়।
প্রশ্ন:
কুরআন শরিফের সঙ্গে কখনো অসতর্কতাবশত অসম্মানজনক আচরণ হলে, অথবা তিলাওয়াতের আগে-পরে অনেকেই কুরআনে চুমু দেন বা চোখে
লাগান। এটি শরীয়তসম্মত কি না? কেউ কেউ এ কাজ করতে দেখলে নিষেধ করেন।
উত্তর:
কুরআন শরিফে চুমু দেওয়া শরীয়তসম্মত। ইকরিমা (রা.) থেকে প্রমাণিত যে, তিনি কুরআন শরিফ চেহারায় লাগাতেন এবং চুমু দিতেন। হাদিসে উল্লেখ
রয়েছে:
“ইকরিমা (রা.) কুরআনে কারীম চুমু দিতেন এবং চেহারায় লাগাতেন।”
(সুনানে দারিমী, হাদিস ৩৩৫৩)
সুতরাং কুরআনে কারীমে চুমু দেওয়া জায়েয। কেউ যদি এটি করেন, তাকে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
যদি অসম্মানজনক কিছু ঘটে:
কোনো অসতর্কতার কারণে কুরআনের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ হয়ে গেলে তাতে লজ্জিত হওয়া, তওবা করা এবং ইস্তিগফার করা প্রধান করণীয়। এ
অবস্থায় কুরআনে চুমু দেওয়া নিষিদ্ধ নয়।
উল্লেখযোগ্য সূত্র:
– মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস ১৬০৪৯
– আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৪
– হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা ১৭৫
– ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/৬০
কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য চুমু দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েয। তবে এটি আবশ্যক কোনো আমল নয়; বরং ব্যক্তি ইচ্ছানুযায়ী করতে পারেন।