➡️ দুই পারে পাকা খেয়াঘাটের দাবি স্থানীয়দের
আক্কাছ আলী, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের খেয়াঘাট প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম। পদ্মার শাখা নদীর ওপর
নির্ভর করে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুরসহ নদী বেষ্টিত পাঁচ জেলার অন্তত ১১টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ। তবে যাতায়াতে নিরাপত্তা আর
অবকাঠামোর অভাবে এই ঘাটটি যাত্রীদের জন্য পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।
বৃদ্ধ, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের নামা-ওঠায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, “প্রতিদিন দুধ বিক্রির জন্য বাজারে
আসতে হয়। কিন্তু ঘাটে ওঠানামা করতে গেলে জীবন বাজি রাখতে হয়। ঘাটটি এতটাই উঁচু যে ওঠা-নামা করতে গিয়ে অনেকেই বিপদে পড়েন।”
কাঁচিকাটার বাসিন্দা রাবেয়া নামে এক নারী বলেন, “যে একবার এ ঘাট দিয়ে পার হয়, সে দ্বিতীয়বার আসতে চায় না। এখানে হাজার হাজার টন আলু, মরিচ,
কাঁচামাল উঠানামা হয়, কিন্তু সেই কষ্ট বোঝা যায় না। আমরা দুই পারে পাকা খেয়াঘাট চাই।”
ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১০ টাকা দিতে হলেও যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি থেকেই যায়। দুর্ঘটনায় হাত-পা ভাঙার ঘটনাও এখানে নিয়মিত। স্থানীয়দের দাবি, দুই
পারে পাকা খেয়াঘাট নির্মাণ করলেই এই দুর্ভোগ কমবে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।”