মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হল ও সৈয়দ আমীর আলী হলে রাতের আঁধারে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক
ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি হলে দেওয়ালে বিজেপির লোগো আঁকানোর খবরও পাওয়া গেছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময়ে এই
ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ও অস্থিতিশীল
পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।
ঘটনার পর হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং সহিংসতা উসকে দেওয়ার
অপচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, “ফজরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করতে গিয়ে দেখি দুটি কুরআন শরীফের কিছু অংশ পুড়েছে।
এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “কুরআন পোড়ানোর ঘটনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। এটি একটি
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।”
সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুনর রশিদ বলেন, “কোরআন পোড়ানোর ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে
আঘাত এবং সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা। তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যয়
ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।