April 17, 2025, 10:39 am
শিরোনাম :
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ — সিবিএ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সভাপতি গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ মেহেরপুরে সীমিত আকারে পালিত মুজিবনগর দিবস, ভাস্কর্য পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে উত্তাল শিক্ষার্থীরা গজারিয়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়ন অভিযোগে যুবক আটক চিরনিদ্রায় শায়িত হিরো আলমের বাবা, বগুড়ায় সম্পন্ন হয়েছে দাফন অভিনেতা হিরো আলমের বাবা মারা গেছেন, আজ জানাজা বগুড়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ , দুর্ভোগে নগরবাসী ছেলেদের অবহেলায় আত্মহত্যা: রাজশাহীতে বৃদ্ধ পিতার মর্মান্তিক পরিণতি

লালপুরে রাস্তা উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম, এক মাসের মধ্যেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা!

মিরাজ হুসেন প্লাবন

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের লালপুরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি সড়কে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বেরিলাবাড়ি হাট থেকে রামপাড়া হাট পর্যন্ত ১১৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে সখ্যতা করে নিম্নমানের পাথর ও ইট ব্যবহার করছে। নতুন খোয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও পুরাতন সলিং রাস্তার ইটই খোয়া হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের দায়িত্ব পেয়েছে নাটোরের মেসার্স খান কন্ট্রাকশন। তবে চুক্তিভিত্তিক সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছেন সোহেল রানা।

সরেজমিনে অনিয়মের চিত্র
পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয় বিটুমিন না দিয়েই কার্পেটিং করা হচ্ছে। পাথরের ড্রাস্টের পরিবর্তে নিম্নমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। ২৫ মিলিমিটার থিকনেস বাধ্যতামূলক হলেও কোথাও কোথাও তা কম রয়েছে। এছাড়া, কার্পেটিংয়ের মিক্সিং না করে সিলকোড ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও জুয়েল রানা জানান, “রাস্তার কাজে নিম্নমানের পাথর ও পাতলা বিটুমিন ব্যবহারের কারণে একদিন পরই পিচ উঠে আসছে। রাস্তার গুণগত মান খারাপ হওয়ায় সিলকোড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, যা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ মতো কাজ। এক মাসের মধ্যেই সড়কটি নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা সঠিক মানের উপকরণ দিয়ে কাজ করার দাবি জানাই।”

ঠিকাদারি ও প্রকৌশল দপ্তরের ব্যাখ্যা
সাব-ঠিকাদার সোহেল রানা বলেন, “ভালো সামগ্রী দিয়েই কাজ করা হচ্ছে। বরং বাজেটের বাইরে গিয়ে এক্সট্রা সিলকোড দিতে বলা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লোকসানের কারণ হচ্ছে।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম বলেন, “ঠিকাদারের সঙ্গে আমাদের কোনো সখ্যতা নেই। কাজ ভালোভাবেই হচ্ছে। হাতে করা কাজ হওয়ায় পাথরের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। বিটুমিনের মান চেক করবে এক্সচেঞ্জ অফিস। কাজের মান খারাপ হলে ঠিকাদার বিল পাবে না।”

স্থানীয়দের দাবি
স্থানীয়রা দ্রুত নিম্নমানের উপকরণ উঠিয়ে দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ করার দাবি জানিয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছ তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন