August 4, 2025, 1:34 am
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সম্পুর্ণ খরচ দেবে বিল গেটস স্কলারশিপ, আবেদন চলছে রাজবাড়ীতে ৩১ কৃতি শিক্ষার্থী পেল এসইডিপি সম্মাননা ও অর্থ সহায়তা সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার পুলিশের বিশেষ অভিযানে মুন্সিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে গ্রামবাসীর ধাওয়া, ড্রেজারে আগুন! স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড়

ঘুম পাড়িয়ে লুটপাট: মুন্সিগঞ্জে তিনজনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

আক্কাছ আলী,

আক্কাছ আলী, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শহরের খালইষ্ট এলাকায় একটি পরিবারকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিন আসামিকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় মুন্সিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন:

  • রিয়াজউদ্দিন সুমন (২৫), পিতা লিটন মিয়া, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মধ্যম কলাকোফা গ্রামের বাসিন্দা।

  • লিটন মিয়া (৪৫), পিতা মৃত তোফাজ্জল হোসেন।

  • বিরাজুল ইসলাম (২৮), পিতা লিটন মিয়া।

রায়ের সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী বুলবুল আহম্মেদ।

ঘটনার বিস্তারিত:

মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর, নেত্রকোনার বাসিন্দা এবং মুন্সিগঞ্জের খালইষ্ট এলাকার ভাড়াটিয়া একলাস মিয়া ব্যবসার কাজে রিয়াজউদ্দিন সুমনকে কনফেকশনারি দোকানের দায়িত্ব দিয়ে নেত্রকোনায় চলে যান। বাড়িতে ছিলেন তার তিন কন্যা ও শাশুড়ি।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে রিয়াজ উদ্দিন সুমন তার পরিচিত লিটন মিয়া ও বিরাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে একলাস মিয়ার ভাড়া বাসায় আসে। এরপর রাতে জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে একলাস মিয়ার তিন কন্যা ও শাশুড়িকে অচেতন করে ঘরের আলমারিতে রক্ষিত ৩ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১১ লাখ টাকা লুট করে তারা পালিয়ে যায়।

পরে ভিকটিমরা স্বাভাবিক হলে বিষয়টি একলাস মিয়াকে জানালে তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেন। আসামিরা প্রথমে টাকা ও স্বর্ণ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা আর না দেওয়ায় ১৩ নভেম্বর ২০২৩ সালে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।

সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত:

মামলার বিচারকাজ চলাকালে ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে উক্ত রায় প্রদান করেন।

বাদীর প্রতিক্রিয়া:

এ বিষয়ে মামলার বাদী একলাস মিয়া বলেন,

“বিশ্বাস করে রিয়াজ উদ্দিনকে ব্যবসার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে আমার বিশ্বাস ভেঙে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণ লুট করেছে। আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন