মো: তানজিম ইসলাম,
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় বোরো ধানক্ষেতে বন্যহাতির পাল আক্রমণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে ফসল রক্ষায় এক সপ্তাহ ধরে মশাল জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সীমান্তবাসীরা।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে জানা গেছে, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা, ফেকামারী, তালতলা ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের একাধিক এলাকায় হাতির তান্ডব চলে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরেংপাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে একটি বন্যহাতির দল বসবাস করছে। দিনের বেলায় গহিন অরণ্যে থাকলেও, সন্ধ্যার পর এরা নেমে আসে ফসলি মাঠে। কৃষকরা ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, পটকা ফুটিয়ে, ঘণ্টা বাজিয়ে এবং হৈ-হুল্লোড় করে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। তবে, এর পরও থামছে না হাতির তান্ডব। ফলে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে আধা পাকা ধান কাটছেন, যা তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এলাকার কৃষক হারেজ আলী বলেন, তার ৩৫ শতক জমি সহ এলাকার আব্দুস সাত্তারের ৩৫ শতক, কাজীমুদ্দীনের ২৫ শতক বোরো ধান ক্ষেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতি। এছাড়াও কৃষক হারুন অর রশিদের ৫৫ শতক জমির মিষ্টি লাউ এবং মুর্শিদ আলীর ২০ শতক লাউ ক্ষেত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
মধুটিলা ইকো পার্কের ইজারাদার ও পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, “সরকারিভাবে স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করে যদি হাতি এবং মানুষের সহাবস্থান সৃষ্টি করা যায়, তবে পাহাড়ি এলাকার মানুষ এবং হাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
বনবিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী জানান, “এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) হাতি প্রতিরোধে কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বন বিভাগের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে।”