নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী):
রাজশাহীর বাঘায় হৃদয়বিদারক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক বাবা। নিজের ছোট্ট মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে সড়কে প্রাণ হারান তিনি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মেয়েটির একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়া মসজিদের পশ্চিম পাশে বটতলা মোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্ত নামের ওই ব্যক্তি মেয়েকে স্কুলে (সম্ভবত আব্দুল্লাহ ক্যাডেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ) নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি দ্রুতগতির সুপার সনি বাস তাদেরকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই শান্ত মারা যান এবং শিশুটির পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দুঃসহ সেই মুহূর্তে এক সহৃদয় ব্যক্তি মেয়েটির বিচ্ছিন্ন পা দুটি রাস্তা থেকে তুলে একটি ভ্যানে তুলে দেন। সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা মেয়েটির চোখে ছিল হতবিহ্বলতা, কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না—সে কী ভয়াবহ যন্ত্রণা সয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শান্তর স্ত্রী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা, দুর্ঘটনায় তাঁর হাত ভেঙে গেছে। মা-মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো বাঘা জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। মানুষ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শান্তর নিথর দেহ আর মেয়ের করুন চেহারার কথা মনে করে।
সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই শান্তর আত্মার শান্তি কামনা করছেন। তারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচার দাবি করছেন।
আমরা সবাই শান্তর রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
— বাঘাবাসীর পক্ষ থেকে এক গভীর শ্রদ্ধা।