সংবাদ প্রতিবেদন:
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দাবি করেছেন, কাশ্মীর বিভাজনকারী সীমান্তের এক সামরিক চৌকিতে ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বুধবার (৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে আতাউল্লাহ বলেন, “তদন্ত থেকে পালিয়েছে আগে, এখন ময়দান থেকেও পালিয়েছে।” তিনি দাবি করেন, চুরা কমপ্লেক্স নামক সামরিক চৌকিতে ভারতীয় বাহিনী আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবে সাদা পতাকা উড়িয়েছে। তবে আলজাজিরা এই দাবির স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণ পায়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত ও স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারতের এই উসকানিমূলক আগ্রাসনের জবাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরবাদ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এই হামলায় ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজকে জানান, ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিশোধমূলক হামলা ছিল নির্ভুল ও শক্তিশালী। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত।”
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই দাবি বা ঘটনাগুলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।