বগুড়ায় মহিলা মেম্বার জাহানারা’র বিরুদ্ধে ভাতা ভোগীদের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ
মামুন,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়ন এর ১,৮ ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতা ভোগীদের কাছে থেকে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে কাগইল ইউনিয়ন এর শৌলাকান্দি গ্রামের আশরাফ আলী (৭৫) কাছে থেকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে নেওয়ার জন্য মহিলা মেম্বার জাহানারা চেয়েছিলো ৮ হাজার টাকা। শেষমেশ ৩ হাজার টাকায় কার্ড করে নিলেও পাননি ভাতার টাকা। আশরাফ আলীর ভাতার কার্ড হয়েছে তিনি নিজেই জানে না। কারন টাকা আসার সিম কার্ড ও একাউন্ট কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের ১,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জাহানারার হাতে। এমন আরো একজন ব্যাক্তি মোস্তা মিয়া তার থেকে টাকা নিয়েছে ৭ হাজার তবে টাকা নিলেও সিম একাউন্টে আসা ভাতার প্রথম টাকা তুলে আত্মসাৎ করে মহিলা মেম্বার জাহানারা। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্দেও করেছেন কারচুপি জনমনে প্রশ্ন এই ভদ্র মহিলার ক্ষমতার উৎস কোথায়। একাধিক অসহায় মানুষের কাছে থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে নেওয়ার জন্য ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছে। উল্লেখযোগ্য ১ নং ওয়ার্ডের শাহিনের প্রতিবন্ধী ছেলে রিমন কে কার্ড করে দিতে চেয়ে টাকা নিয়েছে। ৮ নং ওয়ার্ডের আরো দুইজনের কাছে থেকে কার্ড করে দিতে যে নিয়েছেন দশ হাজার করে টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধবা মহিলা জানান তাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়ে কৌশলে সিম কার্ডটি নিয়ে নেয় এবং টাকার দাবি করে। লোকোমুখে শোনা যায় বিভিন্ন ভাতার টাকা পয়সার চুক্তি সহ বিভিন্ন দালালির সঙ্গে যুক্ত থাকে মহিলা মেম্বারের স্বামী নবাব। যেমন নাম তেমনি কাজ তাদের থেকে কাজ করে নিতে হলে আগে টাকা দিতে হবে পরে কাজ। এমন প্রায় অর্ধশত ভাতা প্রত্যাশীদের অভিযোগ রয়েছে মহিলা মেম্বার জাহানারার উপর। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা তার কাছে মিলে না টাকা ছাড়া কোনো কার্ড। লোক মুখে শোনা যায় ভাতা ভোগী অধিকাংশের সিম জাহানারার হাতে। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা সমাজসেবা কর্মকতা বলেন। ভাতা ভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাতা প্রত্যাশী ও এলাকা বাসীর দাবি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক মহিলা মেম্বার জাহানারা কে।