শাহিন আলম, টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দশ লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান এবং অস্থায়ী সেনাঘাঁটি স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ২টায় টেকনাফ ঝর্ণা চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র প্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, কিন্তু বর্তমানে টেকনাফের মানুষ নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আমাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। আমাদের দাবি, পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করা হোক এবং সেনাঘাঁটি স্থাপন করে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হোক।”
ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ মুর্শেদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে টেকনাফের সব সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, যারা অপরাধ কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালানো জরুরি।”
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় কয়েকটি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী আস্তানা গেড়েছে, যাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে এলাকাবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বক্তারা টেকনাফে রাঙামাটির মতো সেনাঘাঁটি স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।