ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ মুরাদ ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানা গেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুরাদের হাত ও পা সচল করার জন্য রোবোটিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। দেশে এ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে, মুরাদ ইসলাম গুলশানের একটি ক্যাফেতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। গত ১৮ জুলাই মিরপুরের সেনপাড়ার পানির ট্যাংক এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হলেও মুরাদ বেঁচে যান। গুলিটি তার গলার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুরাদের স্ত্রী রানী ইসলাম জানান, আহতদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে অনেক কষ্ট হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ভাস্কুলার সমস্যার কারণে তাকে প্রথমে হৃদরোগ হাসপাতাল এবং পরে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত তিন মাস ধরে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে একাধিক মেডিকেল টিম আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচজনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শুধু তাদেরকেই বিদেশে পাঠানো হবে, যাদের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়।