July 30, 2025, 10:55 am
শিরোনাম :
স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড় রাজবাড়ীর মুচিদহ গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ড বগুড়ায় আকাশে উড়ার স্বপ্নভঙ্গ: জুলাই শেষ, নেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট! ভোলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন পাতা দিয়ে “টাকা” বানিয়ে বিস্কুট কিনলো পথকুকুর

বশেমুরবিপ্রবিতে হল সিট বরাদ্দ নিয়ে উত্তেজনা, প্রভোস্ট অফিসে ভাঙচুর

মিরাজ হুসেন প্লাবন

তরিকুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিজয় দিবস হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

চরমে পৌঁছে প্রভোস্টের অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে এক ঘণ্টাব্যাপী উত্তেজনা চলে। এসময় প্রভোস্ট

অফিসের জানালা ও দরজা ভাঙচুর করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের পুরোনো সিটে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সিট বরাদ্দের আবেদন জানালেও প্রভোস্ট বরাদ্দ দেননি। বরং

সার্কুলারের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।

 

এক শিক্ষার্থী জানান:

“প্রভোস্ট স্যার আমাদের দীর্ঘদিন ধরে এ্যালোট না দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি তার বিভাগ ও জেলার শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে

পক্ষপাত করেছেন। আমরা বারবার তার কাছে গেলেও তিনি কোনো সমাধান দেননি। তার পক্ষপাতমূলক আচরণই শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ করেছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করে তিনি বলেন:

“আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান করুক। এমন পরিস্থিতি এড়ানো প্রশাসনের কাজ। শিক্ষার্থীদের একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া

উচিত নয়।”

প্রভোস্ট ড. মো. রবিউল ইসলাম জানান:

“আমি হলের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সঠিক নিয়মে সিট বরাদ্দের চেষ্টা করেছি। আমি বিভাগভিত্তিক সমতা বজায় রাখার জন্য কাজ করেছি। কিছু শিক্ষার্থী

হয়তো ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন কাজ করেছে। অভিযোগ যে, তারা বরাদ্দের জন্য বারবার আমার কাছে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। আমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে

সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “যদি বরাদ্দের তালিকা ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে কারও সঙ্গে বৈষম্য করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ, তারা

যেন বিষয়টি আরও শান্তভাবে বিবেচনা করে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন