প্রতিনিধি: সুজন বর্মন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যত্রতত্র বাস পার্কিং জনজীবনে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। রাস্তার পাশে বাস পার্কিংয়ের কারণে যানজট, দুর্ঘটনা এবং পথচারীদের চলাচলে সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
রাজধানী ঢাকার যানজট শুধু মহানগরীরই নয়, পুরো দেশের মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক ফ্লাইওভার নির্মাণ করেও পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেনি। পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায়, যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে যানবাহনের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পথচারীরা অভিযোগ করেন, যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে ফেলছে। ফলে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস মিস করছেন এবং অসুস্থ রোগীরা ঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
বাস চালকরা সড়কের একাংশ দখল করে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য বাস পার্কিং করে রাখেন। এতে রাস্তা আরও সরু হয়ে যায় এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এ সমস্যার কারণে দূষণ এবং মানুষের সময়ের অপচয়ও বাড়ছে।
স্থানীয় এক পথচারী বলেন, “আজ সকালে দেখি রাস্তার পাশে একাধিক বাস পার্ক করা। এতে আমাদের চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে। এই পার্কিংয়ের জন্য পথচারীরা ঝুঁকিতে থাকেন, আর দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে।”
জনসাধারণ মনে করেন, পরিবহন মালিকদের অসচেতনতা এবং প্রশাসনের নজরদারির অভাব এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে সমস্যার সমাধান নিয়ে হতাশা বাড়ছে।
ঢাকার জনজীবনের অন্যতম এই সমস্যার সমাধানে পরিকল্পিত পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করতে বাধ্য করতে হবে এবং প্রশাসনের তৎপরতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
এতে যানজট কমবে, দূষণ হ্রাস পাবে এবং সময়ের অপচয় রোধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।