ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৫-এর চলমান আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক বেটিং নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, এবারের আসরের ২২% ম্যাচ (মোট ৮টি) বেটিংয়ের উদ্দেশ্যে পাতানো হয়েছে। সংস্থাটি বিসিবিকে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ম্যাচ, কৌশলগত কারসাজি এবং জড়িত খেলোয়াড়দের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন ম্যাচের তালিকা:
৬ জানুয়ারি ২০২৫: ফরচুন বরিশাল বনাম দুর্বার রাজশাহী
৭ জানুয়ারি ২০২৫: রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটাল
১০ জানুয়ারি ২০২৫: ঢাকা ক্যাপিটাল বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স
১২ জানুয়ারি ২০২৫: দুর্বার রাজশাহী বনাম ঢাকা ক্যাপিটাল
১৩ জানুয়ারি ২০২৫: চিটাগং কিংস বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স
২২ জানুয়ারি ২০২৫: ফরচুন বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স
২২ জানুয়ারি ২০২৫: ঢাকা ক্যাপিটাল বনাম সিলেট স্ট্রাইকার্স
২৩ জানুয়ারি ২০২৫: দুর্বার রাজশাহী বনাম রংপুর রাইডার্স
ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে জড়িত খেলোয়াড়দের নাম:
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান ও আগের আসরের বেশ কয়েকজন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের নাম উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ: আল-আমিন হোসেন (৯টি), আরিফুল হক (৮টি), আলাউদ্দিন বাবু (৫টি)
ওমান: বিলাল খান (৪টি)
ইংল্যান্ড: বেনি হাওয়েল (৪টি)
শ্রীলঙ্কা: চতুরঙ্গ ডি সিলভা (২টি), দানুশকা গুনাথিলাকা (৩টি)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: চ্যাডউইক ওয়ালটন (২টি)
আফগানিস্তান: দারউইশ রাসুলি (২টি)
বিসিবির প্রতিক্রিয়া:
বিসিবি নিশ্চিত করেছে যে তারা আইসিসি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি বলেন, “আমরা ক্রিকেটের সম্মান রক্ষায় আপসহীন। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও করণীয়:
আইসিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিপিএলের ইতিহাসে এটিই প্রথম বড় পরিসরের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা পুরো টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
বিসিবি ও আইসিসি যৌথভাবে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি নিরপরাধ খেলোয়াড়দের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এ ঘটনা হতাশাজনক হলেও, এটি প্রমাণ করে যে দুর্নীতি প্রতিরোধে নজরদারি জোরদার রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করা হবে।