আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্যালহোন একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা পরিচালনা করেন, যা পরিচিত ‘ইউনিভার্স ২৫’ নামে। এই পরীক্ষায় তিনি ইঁদুরের জন্য একটি “আদর্শ পরিবেশ” তৈরি করেন, যেখানে খাবার, পানি ও থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। শুরুতে ইঁদুরেরা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করলেও একসময় তাদের সংখ্যা ৬০০ ছাড়ানোর পর সামাজিক অস্থিরতা ও আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয়।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী:
🔹 কিছু ইঁদুর অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, অন্যদিকে কিছু ইঁদুর একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
🔹 পুরুষ ইঁদুরদের মধ্যে কিছু “সুন্দরী ইঁদুর” তৈরি হয়, যারা লড়াই ও বংশবৃদ্ধিতে আগ্রহ হারায়।
🔹 মহিলা ইঁদুরেরা ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং সন্তান প্রতিপালনে আগ্রহ হারায়।
🔹 শেষ পর্যন্ত ইঁদুরদের জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় পৌঁছায় এবং কলোনিটি ধ্বংস হয়ে যায়।
ক্যালহোন এই গবেষণাটি ২৫ বার পুনরাবৃত্তি করেন এবং প্রতিবার একই ফলাফল পান। গবেষকদের মতে, এটি মানবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে—অতিরিক্ত আরামদায়ক জীবনযাপন, সামাজিক অস্থিরতা ও জন্মহারের হ্রাস কি সভ্যতার ধ্বংসের কারণ হতে পারে?
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই গবেষণার ফলাফল আধুনিক সমাজের বিভিন্ন পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। বিশেষ করে অভিনব জীবনধারা, সম্পর্কের পরিবর্তন এবং জন্মহার কমার প্রবণতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।