শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের শালুকগাড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত গৃহবধূর নাম সুমাইয়া আখতার (৩২)। তিনি আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাকারিয়া হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, চার মাস আগে সুমাইয়া খরনা ধাওয়াপাড়া গ্রামের রাজু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রী’ পরিচয়ে শালুকগাড়ি গ্রামের ওয়াহেদ আলীর বাড়িতে ভাড়া উঠেছিলেন। তবে তদন্তে জানা গেছে, সুমাইয়ার প্রকৃত স্বামী হচ্ছেন শাজাহানপুরের মাঝিড়া ইউনিয়নের টিকাদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাপ্পি নামের এক যুবক। ঘটনার পর থেকেই রাজু পলাতক রয়েছেন, যার ভূমিকা ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী জানান, রাজু ভাড়া নেওয়ার সময় মালতিনগর এলাকার ঠিকানা ও মাইক্রোবাস চালক পরিচয় দেন। ভাড়া বাসায় তাদের চলাফেরা ছিল সন্দেহজনক ও রহস্যময়। মঙ্গলবার সারা দিন ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় এবং লাইট না নিভিয়ে রাখায় সন্দেহ হয়। বুধবার ভোরে দরজায় তালা দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম ও প্রতিবেশীদের খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সুমাইয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) গোলাম মোস্তফা জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না।” আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা রাজুর পলাতক অবস্থান ও তাদের সম্পর্কের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।