আক্কাছ আলী, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মনির
হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না, আর টাকার বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে দেওয়া
হয়।
ধীপুর এলাকার বাসিন্দা হায়াতুল ইসলাম জানান, “আমি নামজারি করতে গেলে নানা জটিলতার অজুহাতে আমাকে ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। দর-
কষাকষির পর ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কাগজপত্র জমা দেই। মাস পেরিয়ে গেলেও নামজারি সম্পন্ন হয়নি।”
অভিযোগ রয়েছে, অফিস সহকারী মনির হোসেন একাধিকবার সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নামজারি সম্পন্ন না করে বিভিন্ন টালবাহানার
আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকি অর্থ ফেরতের দাবিতে চাপের মুখে টাকাও ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবাগ্রহণে বাধ্যতামূলকভাবে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। অনলাইনে নামজারি
আবেদন করতে সরকার নির্ধারিত ১,১০০ টাকার পরিবর্তে ১,০০০ টাকা আলাদাভাবে নেওয়া হয়। এছাড়া নায়েবের কম্পিউটার ব্যবহারের দায়িত্ব পালন
করেন শুভ নামে একজন উমেদার, যিনি সেবাগ্রহণকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে ভূমিকা রাখেন।
অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী মনির হোসেন বলেন, “এই জায়গাটি হিন্দুদের খতিয়ানভুক্ত। কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আজকের মধ্যেই দেওয়া হবে। টাকা
নেওয়া বিষয়ে নায়েব ভালো জানেন।”
আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় টাকা দিয়েছেন।
প্রয়োজন হলে তাকে ডেকে সমাধান করা হবে।”
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তিনি লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে
যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, ভূমি অফিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।