আক্কাছ আলী :মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার চাষিরা খিরা চাষে স্বপ্ন দেখছেন নতুন সম্ভাবনার। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, খিরা এখন একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত। হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সামাজিক অনুষ্ঠান, এমনকি বাসা-বাড়ির সালাদেও খিরার চাহিদা অপরিসীম।
উৎপাদনে বদলে যাচ্ছে জীবন:
শস্যভান্ডার খ্যাত মুন্সীগঞ্জে ধান, আলু, সরিষার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে খিরার চাষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ঈদ এবং বিয়ের মৌসুমে চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি চাষিদের জন্য আরও লাভজনক হয়ে উঠেছে।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেহের পাড়ার চাষি মাসুদ রানা জানান, তিনি প্রতি বছরের মতো এবারও তিন বিঘা জমিতে স্থানীয় ও উচ্চ ফলনশীল জাতের খিরা চাষ করেছেন। এরই মধ্যে ছয়টি চালানে প্রায় ৮০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ মণ করে খিরা তুলছেন, যা বাজারে ১২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাষের খরচ ও লাভের হিসাব:
মাসুদ রানা জানান, তিন বিঘা জমি পত্তন নিয়ে খিরা চাষে এ পর্যন্ত তার ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বাজারমূল্য ঠিক থাকলে, তিনি এই মৌসুমে প্রায় ৪ লাখ টাকার খিরা বিক্রির আশা করছেন।
উচ্চ চাহিদার ফসল:
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, খিরা এখন মুন্সীগঞ্জের চাষিদের জন্য একটি লাভজনক ফসল। এর চাষাবাদে লাভজনক হওয়ায় ধান কিংবা অন্যান্য ফসলের তুলনায় খিরা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
উন্নত ফসল উৎপাদনে অনুপ্রেরণা:
খিরা চাষে মাসুদ রানার সাফল্য অনেক চাষির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে মুন্সীগঞ্জে বাণিজ্যিক কৃষির পরিধি আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।